রক্তে প্রোটিনের হার কত? || রক্তে প্রোটিনের হার কত পারসেন্ট
রক্তে প্রোটিনের হার কত? রক্ত মানুষের জীবনধারক এবং এর সঠিক অবস্থা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান, যা জীবন সাধারণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন রক্তের বিভিন্ন ধরণের কাজ করে এবং শরীরের সঠিক অবস্থা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ ব্যপার। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব রক্তে প্রোটিনের হার কত এবং এর প্রাধান্য কী রকম।
রক্তে প্রোটিনের কাজ এবং প্রাধান্য:
প্রোটিন শরীরের মৌলিক উপাদান এবং শক্তির সৃষ্টি করে। এটি পুষ্টিকর খাদ্যে থাকা প্রোটিনের মূল উৎস হিসাবে বিশেষত পরিচিত। রক্তে প্রোটিনের মূল কাজ হল অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করা, কার্বন ডাই অক্সাইড বিসর্জন এবং সেলগুলোর নির্মাণ ও মেটায়।
রক্তে প্রোটিনের হার কত:
স্বাস্থ্যের মূলধন মানুষের জীবনধারক হিসাবে রক্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্তে প্রোটিন একটি মুখ্য উপাদান, যা জীবন সাধারণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তে প্রোটিনের হার পরিবর্তনশীল এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে আমরা রক্তে প্রোটিনের হার এবং তার প্রাধান্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
নিজের টেবিলে আরও বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে….
- রক্তরস ৫৫%
- রক্তকণিকা ৪৫%
- রক্তরসে পানি ৯০% – ৯২%
- কঠিন পদার্থ ৮% – ১৯%
- কঠিন পদার্থে জৈব পদার্থ ৭.১% – ৮.১%
- অজৈব পদার্থ ০.৯%
- জৈব পদার্থে প্লাজমাপ্রোটিন ৬%-৮%
আমিষ:
আমিষ হলো প্রাকৃতিকভাবে আমাদের দেহে থাকা প্রধান গঠনাত্মক উপাদান। আমিষ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফার এই পাঁচটি মৌলিক মৌলধাতুর সমন্বয়ে গঠিত। আমিষে ১৬% নাইট্রোজেন থাকে। এটির নিজস্ব প্রোটিনের কোড নাম হলো “প্রোটিন পি-৪৯“। একটি প্রকার প্রোটিন যা কোলাজেন নামে পরিচিত। আমিষ থেকে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধকারী এন্টিবডি উৎপন্ন হয়। আমিষের অভাবে শিশুদের কোয়াশিরক এবং মেরাসমাস রোগ হতে পারে। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে, আমিষের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে যেতে পারে এবং রক্তে অল্পস্বল্পতা দেখা দেতে পারে।
Read More: Best Collagen Powder for Skin
আমিষ হলো অ্যামিনো এসিডের একটি জটিল যৌগ। পরিপাক প্রক্রিয়া দ্বারা এটি দেহে শোষণ উপযোগী অ্যামিনো এসিডে পরিণত হয়। প্রাকৃতিকভাবে ২২ প্রকার অ্যামিনো এসিড পাওয়া গেছে যা দ্রব্যগুলিতে পাওয়া যায়। এই অ্যামিনো এসিডগুলি দেহের নির্মাণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং প্রোটিন উৎপাদনে সহায়ক। অ্যামিনো এসিড দুই প্রকার – একটি অপরিহার্য (আবশ্যকীয়) এবং অন্যটি অপরিহার্য (অনাবশ্যকীয়)। দশটি আবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিড হলো ভ্যালিন, লিউসিন, আইসোলিউসিন, ফেনালালানিন, লাইসিন, থ্রিওনিন, মিথাইওনিন, ট্রিপ্টোফান, আর্জিনিন এবং হিস্টিডিন। আমিষ এবং অন্যান্য মাংসপেশী, মাছ, ডিম (যেমন ডিমের সাদা অংশে আলবুমিন প্রকার।
আমিষ হলো প্রাকৃতিকভাবে আমাদের দেহে থাকা প্রধান গঠনাত্মক উপাদান। আমিষ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং সালফার এই পাঁচটি মৌলিক মৌলধাতুর সমন্বয়ে গঠিত। আমিষে ১৬% নাইট্রোজেন থাকে। এটির নিজস্ব প্রোটিনের কোড নাম হলো “প্রোটিন পি-৪৯”। একটি প্রকার প্রোটিন যা কোলাজেন নামে পরিচিত। আমিষ থেকে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধকারী এন্টিবডি উৎপন্ন হয়। আমিষের অভাবে শিশুদের কোয়াশিরক এবং মেরাসমাস রোগ হতে পারে। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে, আমিষের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে যেতে পারে এবং রক্তে অল্পস্বল্পতা দেখা দেতে পারে।
রক্ত একটি অত্যন্ত জরুরি প্রশ্ন
রক্ত মানুষের জীবনের মূলধারক। এটি শরীরের অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে, কার্বন ডাই অক্সাইড বিসর্জন করে এবং সেলগুলোর নির্মাণ ও মেটাবলিজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, রক্ত নিয়ে সম্পূর্ণ কর্মক্ষেত্রে আনুমানিক কিছু সমস্যা সম্ভবনো যেমন রক্তাল্পতা
অল্প রক্তের হিসেবে অথবা অন্যান্য মেডিক্যাল শর্তের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় হলে, শরীর রক্ত প্রতিস্থাপন করার জন্য দাতা রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। এই সংক্রান্তে রক্ত গ্রহণের সাধারণ একটি প্রশ্ন হলো রক্তে প্রোটিনের হার।
রক্তে প্রোটিনের হার সাধারণত মাপা হয় গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL) এককে। সাধারণত, একটি স্বাস্থ্যকর ব্যক্তির রক্তের প্রোটিনের হার প্রায় 6 থেকে 8.3 g/dL হয়। মহিলাদের জন্য, এটি সাধারণত কিছুটা নিম্নতর হয়ে যায় কারণ এই ক্ষেত্রে হেমোগ্লোবিনের পরিমান ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পার্থক্য থাকে।
রক্তে প্রোটিনের হার প্রভাবিত কারণগুলো বিভিন্ন হতে পারে। এটি সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলোর ফলে হয়ে থাকে:
পুষ্টিকর খাদ্যসমূহের অভাব:
যখন মানুষ পুষ্টিকর খাদ্যসমূহ খায়। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পুরোপুরি উপাদানসমূহ পাচ্ছে না, তখন প্রোটিনের হার কম হতে পারে। প্রোটিন ধারণকারী পুষ্টিকর খাদ্যসমূহ যেমন মাংস, মাছ, ডেয়ারি পণ্য, ডাল, নাটক, সয়াবিন, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি এই প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের খাদ্য পদার্থ পণ্যের পদার্থসমূহ পরিবর্তনশীল হলে, সম্ভবত প্রোটিনের হার পরিবর্তন হয়ে যাবে।
প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্য:
প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্য যেমন বিস্কুট, স্ন্যাকস, কেক, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি যে পুষ্টিকর খাদ্যের প্রক্রিয়া করা হয়েছে, সেগুলো প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্য পণ্যের হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এই প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্যসমূহে প্রোটিনের হার সাধারণত কম থাকে, কারণ প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্য পণ্যের তৈরির প্রক্রিয়া ও সংক্রিয়নে প্রোটিন কমে যায়।