প্রোটিন পাউডার খেলে কি হয় 2023

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে প্রোটিন পাউডার খেলে কি হয়? অধিকাংশ পাঠকদের মধ্যে এই প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষ করে যারা ফিটনেস ধরে রাখবেন জিম বা শরীরচর্চা করেন। এবং যারা চিকন থেকে মোটা হয়ে সুঠাম দেহের অধিকারী হতে চান। তাদের অনেকেই মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খায় এই প্রোটিন পাউডার শরীরের জন্য কতটা উপকারি আর প্রোটিন পাউডারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাদের এসকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজকের এই পোস্ট টি লিখেছি। আশাকরি মনযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

প্রোটিন পাউডার খেলে কি হয়

প্রোটিন পাউডার খেলে কি হয়
প্রোটিন পাউডার খেলে কি হয়

এই প্রোটিন পাউডার বা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট কে বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন-

  1. বডি প্রোটিন পাউডার
  2. বডি বিল্ডিং প্রোটিন পাউডার।
  3. মাসেল প্রোটিন পাউডার।

এগুলো প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের আওতায় পড়ে। এছাড়া গেইনার প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট এবং হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সহ অসংখ্য ক্যাটাগরির প্রোটিন পাউডার অনলাইন ও অফলাইন বাজারে পাওয়া যায়। যা অনলাইনের মার্কেট গুলোতে হর হামেশাই পেয়ে যাবেন।

Read More>>>>>  প্রোটিন জাতীয় খাবার কি কি

পুষ্টিবিদদের মতে- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ও জন হিসেবে ১ কিলোর জন্য প্রতিদিন গড়ে ০.৮ থেকে ২ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন এর প্রয়োজন হয়। বিষয়টি ক্লিয়ার করে বললে- ধরুন আপনার বয়স এখন ৩০ হলে আপনার দৈনিক প্রোটিন এর চাহিদা ২৪-৩০ গ্রাম। এটা হলো স্বাভাবিক হিসাব, কিন্তু যারা কঠোর পরিশ্রম করের তাদের জন্য (১.৫-২ গ্রাম)একটু বেশিই প্রয়োজন হয়। একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য এই প্রোটিনের ঘাড়তি পূরন করতে বারতি টেনশন নিতে হয় না। কারন দৈনন্দিন খাবার থেকেই প্রোটিন এর ঘাড়তি পূরন করা সম্ভব।  যেমন – মুরগির মাংস, ডাল, ডিম ও দুধ থেকেই এই চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। 

প্রোটিন পাউডারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অতিরিক্ত প্রোটিন প্রোটিন পাউডারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পাউডার দীর্ঘ দিন ধরে সেবন করলে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘুরা, ক্ষুধামান্দ্য, ডায়রিয়া, মানসিক চাপের মতো নানাম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ই ধারাবাহিকতায় প্রোটিন পাউডারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হলো।

ব্রণ উঠতে পারে

হরমোন ও বায়োঅ্যাকটিভ পেপটাইডস মিশ্রিত এই প্রোটিন পাউডার খেলে শরীরের সেবামের উপাদান বেড়ে যায়। যার ফলে মুখমণ্ডল, গলা, পিঠ সহ শরীরের নানান জায়গায় ব্রণ উঠতে পারে। এর ফলে আপনাকে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যেতে হবে। চেহারা বিকৃত হবে, মনোবল হারিয়ে যাবে। ব্রোন একটি বিরক্তিকর জিনিস।  না যায় দিনের মধ্যে শেষ করা। আর না যায় মানুষের সামনে মুখ দেখানো।

প্রোটিন পাউডারে ভারসাম্যহীন পুষ্টিমিশ্রণ

আমাদের দৈনন্দিন খাবার তথা ডিম, দুধ, মাছ- মাংসের তুলনায়, একটু বেশিই প্রোটিন পাউডার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে আপনি যদি আপনার শরীরের তুলনায় এই পাউডার বেশি সেবন করেন। তাহলে অসংখ্য রোগ আর সমস্যা আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে।

প্রোটিন পাউডার মানেই বিষ

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রোটিন পাউডার এর দাম বেশি থাকায়। অবৈধ ব্যবসাহি বা চোরাকারবারিরা ঘড়ে বসেই প্রোটিন পাউডার এর নামে বিষ বাজারে ছেড়েছে। আর আপনি আমি কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে এই বিষ কিনে খাচ্ছি। এবং ধীরে ধীরে দেহের ভিতরে রোগের বাসা বাধছি। যা সেবনের ফলে  মাথা ব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠ কাঠিন্য সহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অতএব আপনি যদি একান্তই প্রোটিন পাউডার খেতেই চান, তাহলে অন্ততো ভালো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির পাউডার ক্রয় করিয়েন। যদিও হাবিজাবি কোম্পানির থেকে একটু দাম বেশিই হবে।

ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়

এই প্রোটিন পাউডার শরীরের ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যারই ফলশ্রুতিতে আপনার শরীরে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে। তাই যতটা সম্ভব এই পাউডার সেবন থেকে নিজেকে বিরত রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রোটিন পাউডার এর দাম কত?

প্রোটিন প্রেমিদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছেন প্রোটিন পাউডার এর দাম কত। তাহলে ধরে নিতেই পারি আপনি ইতিমধ্যে এই পাউডার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন। তা যদি নাই হতো, তবে দাম জানার এতো আগ্রহ কেনই বা হবে? যাইহোক,  একটু ফান করলাম। তাহলে শুনুন এই পাউডার এর নিদ্রিষ্ট কোন দাম নির্ধারণ করা নেই। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন দামে এই প্রোটিন পাউডার বিক্রি করে থাকেন। তবে দাম এবং মানের দিক বিবেচনায় আপনাকে আনুমানিক একটা ধারনা দিতে পারি। আপনি যদি মোটামুটি ভালোমানের, ভালো কোম্পানির পাউডার ক্রয় করতে চান, তাহলে আপনাকে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা গুনতে হবে। যা বাংলাদেশের ডারাজ ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করতে পারবেন।

Read More >>  বেশি প্রোটিন খেলে কি হয়

একটি কথা আবারও বলে রাখি দাম ও মান বিবেচনায় এর দাম কম বেশি হতে পারে। আমি যেটা বলেছি এটা নিদ্রিষ্ট নয়। আর একটি বিষয় জানিয়ে রাখি আপনি যদি প্রোটিন পাউডার খেতেই চান, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। শুধু শ্যোসালমিডিয়া থেকে ধারনা নিয়েই এই পাউডার ক্রয় বা সেবন করবেন না। কারন শ্যোসিয়াল মিডিয়ার সবাই ডক্টর না। এমনকি আমিও ডক্টর না।

 

শেষ কথাঃ

শরীরকে সুস্থ রাখতে, শরীরের প্রয়োজনীয় সকল চাহিদা পূরণ করতে দৈনন্দিন খাবারের বিকল্প নেই। এর পরেও যদি কোন পুষ্টির ঘাড়তি থাকে, এবং মেডিসিন এর প্রয়োজন হয়। তাহলে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে সেবন করাটাই ভালো। যেমনি ভাবে সব কিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে প্রোটিন পাউডারের ও ভালো এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আশাকরি প্রোটিন পাউডার খেলে কি হয় এ বিষয় টি বুঝতে পেড়েছেন। আজ এ পর্যন্তই।।

Check Also

best collagen powder for skin

Best Collagen Powder for Skin | Benefits | Side Effects

Best Collagen Powder for Skin Collagen can be sourced from bovine, marine, or poultry. Each …

3 comments

  1. Right here is the perfect website for anybody who wishes to find out about this topic. You know a whole lot its almost hard to argue with you (not that I personally would want toÖHaHa). You certainly put a new spin on a subject that has been written about for decades. Excellent stuff, just excellent!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *